আফগানিস্তানকে কেন কফিনের দেশ বলা হয়? আফগানিস্তান—একটি ভূখণ্ড যার নাম শুনলেই যুদ্ধ, ধ্বংস, এবং অপার শোকের চিত্র চোখে ভেসে ওঠে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই দেশটি ছিল বৃহৎ সাম্রাজ্যগুলোর কবরস্থান। কখনও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, কখনও সোভিয়েত ইউনিয়ন, আবার কখনও যুক্তরাষ্ট্র—আফগানিস্তান তাদের প্রতিটির জন্যই হয়ে উঠেছে এক রক্তাক্ত অধ্যায়, এক ‘কফিন’। এই নিবন্ধে আমরা অনুসন্ধান করব কেন আফগানিস্তানকে “কফিনের দেশ” বলা হয় এবং এই অভিধাটি কতটা সঙ্গতিপূর্ণ। ১. ভৌগোলিক এবং কৌশলগত অবস্থান: যুদ্ধের খেলা আফগানিস্তান দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত। ভারত, ইরান, চীন, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মাঝখানে অবস্থান করে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত এলাকা হয়ে উঠেছে। এটি “গ্রেট গেম”-এর মঞ্চ হয়ে দাঁড়ায়, যেখানে পশ্চিমা ও প্রাচ্য শক্তিগুলো বারবার নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই দেশটির খাড়া পর্বত, বিশৃঙ্খল গোষ্ঠীগত সমাজ এবং প্রতিরোধী সংস্কৃতি তাদের বারবার ব্যর্থ করেছে। ২. ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কফিন ১৮৩৯ থেকে ১৯১৯ পর্যন্ত আফগানিস্তানের সঙ্গে ব্রিটিশদের তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। প্রথম অ্যাঙ্গলো-...