পাকিস্তানে কাওয়ালি সঙ্গীতের জনক: উস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলি খান কাওয়ালি—একটি আত্মা-জাগানিয়া সুফি সংগীত—যা শত শত বছর ধরে উপমহাদেশের মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে এসেছে। এ সংগীত শুধু সুর বা তাল নয়, এটি আধ্যাত্মিক এক সাধনার মাধ্যম। কাওয়ালির জন্ম যদিও ভারতীয় উপমহাদেশে ১৩শ শতকে, তবে পাকিস্তানে কাওয়ালিকে আধুনিক রূপে বিশ্বদরবারে পরিচিত করিয়েছেন একজন মহান শিল্পী— উস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলি খান । পাকিস্তানে তাঁকেই ‘কাওয়ালির জনক’ (Father of Qawwali in Pakistan) হিসেবে গণ্য করা হয়। এই প্রবন্ধে আমরা দেখব কেন নুসরাত ফতেহ আলি খানকে পাকিস্তানের কাওয়ালি সংগীতের জনক বলা হয়, তাঁর অবদান, ও কিভাবে তিনি প্রাচীন এই সংগীতকে আধুনিক রূপে বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করেছেন। কাওয়ালির উৎপত্তি ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট কাওয়ালির গোড়াপত্তন হয় দিল্লীর সুফি সাধক হযরত নিজামউদ্দিন আউলিয়ার শিষ্য আমীর খসরু -এর হাত ধরে। তিনি পারস্য, আরব, তুর্কি ও ভারতীয় সংগীতকে মিশিয়ে এক নতুন ধারার সুফি সংগীত সৃষ্টি করেন, যেটি পরিচিত হয় “কাওয়ালি” নামে। মূলত চিশতিয়া তরিকার সুফিরা এটি ধর্মপ্রচারের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতেন। ভারত ভাগের প...